দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা আসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন

aslam_chowdhury.jpg
বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী। স্টার ফাইল ছবি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল না করার মামলায় আদালত অভিযোগ গঠন করেছেন।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক আরাফাত হোসেন অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর আসলাম চৌধুরী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে বিচারের দাবি জানান।

এর আগে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে আসলামের করা আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।

বিচারক মামলার শুনানি শুরুর জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১ জুন এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে আসলাম চৌধুরীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২৮ মার্চ ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান আসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গ্রহণ করেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। যদিও আসলাম অন্যান্য মামলায় কারাগারে আছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো.নাসির উদ্দিন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারির বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জমিলা নাজনীন মাওলার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।

২০১৯ সালের ১৩ মে, দুর্নীতি দমন সংস্থার উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি নোটিশ জারি করে আসলামকে সাত দিনের মধ্যে তার সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলেন। এরপর ওই বছরের ২৩ জুন আসলামকে নোটিশ দেয় চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষ।

ওই বছরের ১ জুলাই আসলাম তার সম্পদের বিবরণী দুদকে জমা দিতে তিন মাসের সময় চেয়েছিলেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য মোট ৩৬ দিন সময় দেয়।

আসলাম চৌধুরী ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট এ বিষয়ে আরও তিন মাস সময় চেয়ে আরেকটি আবেদন জমা দেন।

কিন্তু ওই বছরের ১৫ অক্টোবর দুদক কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবকে জানান যে আর কোনো সময় দেওয়া যাবে না এবং একাধিকবার মেয়াদ বাড়ানো সত্ত্বেও তিনি নথি জমা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়।

Comments

The Daily Star  | English

Not going anywhere till the job is done: Adviser Wahiduddin Mahmud

When asked about the chief adviser's resignation the adviser said, 'He did not say he was leaving'

2h ago