দুর্নীতির আরেক মামলায় খালাস পেলেন খন্দকার মোশাররফ

খন্দকার মোশাররফ হোসেন
খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ফাইল ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আজ রোববার ১২ কোটি ৫১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ১১ লাখ টাকার তথ্য গোপনের মামলায থেকে খালাস পান তিনি।  

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় দেন। রায়ে বলা হয়, মোশাররফের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। বিচারক বলেন, প্রসিকিউশন সম্পূর্ণভাবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই মামলার অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি।

খালাসের আদেশের পরপরই মোশাররফ হোসেন সন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, ১৬ বছর পর আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন রমনা থানায় মোশাররফ ও তার স্ত্রী বিলকিস হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

তদন্তের পর ২০০৮ সালের ১৩ এপ্রিল ওই দম্পতির বিরুদ্ধে আলাদতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

কিন্তু অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে বিলকিস হোসেনের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বাতিল করে দেন বলে জানান আইনজীবী বোরহান উদ্দিন।

গত ২৮ নভেম্বর বিশ্বব্যাংকের তহবিলের অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ৪৯ লাখ ৭ হাজার ৮০৮ টাকা আত্মসাতের মামলায় খন্দকার মোশাররফসহ তিনজনকে খালাস দেন আদালত।

গত ২৭ নভেম্বর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা থেকে খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়। একই মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা পাচারের মামলায় চলতি বছরের ২২ আগস্ট একই আদালত মোশাররফ হোসেনকে খালাস দেন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

A Bangladeshi woman has alleged that India’s Border Security Force (BSF) tied empty plastic bottles to her and her three daughters to keep them afloat, then pushed them into the Feni river along the Tripura border in the dark of night, in a chilling account of abuse at the border.

6h ago