রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান খাদেমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল

ফাইল ছবি স্টার

রাজধানীর গুলশানে সরকারি জমে বরাদ্দে অনিয়মের মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ১৩ আগস্ট ধার্য করেছে আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

জামিনে থাকা খাদেম এবং আরও সাত আসামি আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ১০ মে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলায় খাদেমসহ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি হুমায়ুন খাদেমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আক্তার।

রাজধানীর গুলশান এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তির নামে ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ সরকারি জমি বরাদ্দের অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি হুমায়ুন খাদেমের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক পরিচালক আবদুর রহমান ভূঁইয়া (এ আর ভূঁইয়া), আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান, তার স্ত্রী কামরুন নেসা, মোশাররফ হোসেন, মো. জাকারিয়া চৌধুরী ও প্লট পাওয়া মশিউর রহমান।

মামলার নথিতে বলা হয়, গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডের ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ প্লট (এনইজি প্লট নং-৬) প্রিন্স করিম আগা খানের পিপলস জুট মিলসের মালিকানাধীন ছিল।

১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে এই সম্পত্তিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলে এটি সরকারের মালিকানায় চলে যায়।

এরপর ১৯৯২ সালে এখানে ২৮, ২৮ (এ), ২৮ (বি) এবং ২৮ (সি) নম্বরসহ ৪টি নতুন প্লট তৈরি করা হয়। অবৈধভাবে আমির হোসেন দেওয়ান, মোশাররফ হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান, সাহিউজ্জামান ও তার স্ত্রী কানরুন্নেসাকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান প্লটের দখলে রয়েছেন। বাকি দুটি প্লট পরিবর্তন করা হয়েছে।

দুদকের তদন্তে রাজউকের দুই কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিত্যক্ত সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দিয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ জমি বরাদ্দের এখতিয়ার রাজউকের না থাকায় তারা গোপনীয়তার সঙ্গে জমি বরাদ্দ দেয়। পরে সেখানে গুলশান মডেল টাউনের অধীনে ভবনটি নির্মাণ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh tops sea arrivals to Italy

The number of Bangladeshis crossing the perilous Mediterranean Sea to reach Italy has doubled in the first two months this year in comparison with the same period last year.

6h ago