সাংবাদিক নাদিম হত্যা

৩০ ঘণ্টায়ও অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বাবুর বাড়িতে অভিযান চালায়নি পুলিশ

নাদিমের মৃত্যুর পর থেকে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু পলাতক আছেন।
সাংবাদিক নাদিম হত্যায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ বলছে, বাবুকে আটক করতে বিশেষ টিম কাজ করছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক নাদিম। তার মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও, অভিযুক্ত বাবুর বাড়িতে কোনো অভিযান চালায়নি পুলিশ।

নাদিমের মৃত্যুর পর থেকে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু পলাতক আছেন।

এ কথা জানিয়ে জামালপুরের পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহম্মেদ আজ শুক্রবার রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের বিশেষ কয়েকটি টিম তাকে আটকের জন্য কাজ করছে। তিনি বাড়িতে নেই। শূন্য বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লাভ কী?'

'বাবু চেয়ারম্যানের পেছনে আমাদের টিম দৌঁড়াচ্ছে। খুব দ্রুত তিনি এক জেলা থেকে আরেক জেলায় দৌঁড়াচ্ছেন,' বলেন এসপি।

সরেজমিনে আজ সাধুরপাড়ায় চেয়ারম্যান বাবুর বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ির মূল দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়।

গত বুধবার রাতে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি নাদিম। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় চেয়ারম্যান বাবুর ছেলে রিফাত ইট দিয়ে নাদিমের মাথায় আঘাত করেন। বাবু তখন সেখানেই ছিলেন।

বকশীগঞ্জ থানা সূত্র জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে চেয়ারম্যান বাবুর বোনের ছেলে রেজাউল ও বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক রাকিবুল্লাহ রাকিবসহ মনির, রিফাত ও সাইদকে চেনা গেছে। তাদের আটক করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাংবাদিক হত্যায় এখনো মামলা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago