ফারদিন হত্যা মামলা: সিআইডিকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার আদেশ

ফারদিন নূর পরশ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) জমা দিতে বলেছেন আদালত।

সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আজ বুধবার আবারও নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার।

গত ১৬ এপ্রিল আরেক আদালতে ফারদিনের বাবার করা মামলার আসামি আমাতুল্লাহ বুশরাকে নিয়ে ডিবির প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ফারদিনের বাবা অনাস্থা আবেদন করলে বিচারক আরও তদন্তের নির্দেশ দেন।

তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সঠিকভাবে তদন্ত করেননি বলে অভিযোগ তুলে আবেদনে অধিকতর তদন্ত চেয়েছেন ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন।

আইওর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলে অভিযুক্তদের দ্বারা পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তিনি।

গত ৮ জানুয়ারি জামিন পাওয়া বুশরা আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর গত বছরের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিনের মরদেহ পাওয়া যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে আইও বলেন, গত বছরের নভেম্বরে ফারদিন আত্মহত্যা করেন।

তবে ফারদিনের বাবা জোর দিয়ে জানিয়েছেন, তার ছেলে কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না।

ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর গত বছরের ১০ নভেম্বর রাজধানীর বনশ্রীর বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে রামপুরা থানা পুলিশ।

৫ দিনের রিমান্ড শেষে জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পর ১৬ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত চালিয়ে ডিবি ও র‌্যাব ১১ ডিসেম্বর জানায়, ফারদিন সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পরদিন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, তারা এ ঘটনায় বুশরার সম্পৃক্ততা পাননি।

গ্রেপ্তারের ২ মাস পর গত ১০ জানুয়ারি কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান বুশরা।

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

1h ago