মুন্সিগঞ্জে আ. লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে কলেজশিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ

গুলিবিদ্ধ কলেজশিক্ষার্থী কাউসারকে প্রথমে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ সদরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে এক কলেজশিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। 

আজ রোববার দুপুরে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মাকহাটি এলাকায় স্থানীয় ফয়সাল সরদার গ্রুপ ও নাহিদ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

মুন্সিগঞ্জ সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ কাউসার আহমেদ সরকারি হরগঙ্গা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ফয়সাল সরদার গ্রুপ ও নাহিদ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

দুটি গ্রুপই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং ফয়সাল ও নাহিদ দুজনই মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মহসিনা হক কল্পনার অনুসারী বলে জানা গেছে।

রোববার সকাল থেকে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। দুপুরে তারা মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় মাকহাটি এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। 

তখন কাউসার গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কাউসারের মা ফাতেমা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এলাকায় অনেক দলাদলি হয়। আমরা কোনো দল করি না। আমি সরকারি চাকরি করি। বাসা থেকে মুন্সিগঞ্জ হাসপাতালে আসার সময় দেখি মুখ বেঁধে দুইপক্ষ গোলাগুলি করছে। আমার ছেলে কোনো দলের না। তার গুলি লেগেছে।'

জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগ হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাউসারের গায়ে-হাতে-পায়ে শটগানের গুলি লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।'

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মহসিনা হক কল্পনা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফয়সাল আমার সঙ্গে রাজনীতি করে। নাহিদ আমার লোক না। তবে তারা দুজনই এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানি।'

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে নাহিদ ও ফয়সাল গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
 

Comments

The Daily Star  | English
Prof Yunus in Time magazine's 100 list 2025

Time’s List: Yunus among 100 most influential people

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus has been named among TIME magazine’s 100 Most Influential People of 2025.

1h ago