আদালত চত্বরের গাছ কাটার অভিযোগে এসিল্যান্ডসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরের ৫টি আকাশমনি গাছ কেটে ফেলা ও পুকুর থেকে মাছ ধরে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরের ৫টি আকাশমনি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ছবি: স্টার

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরের ৫টি আকাশমনি গাছ কেটে ফেলা ও পুকুর থেকে মাছ ধরে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

আদালতের স্টেনো টাইপিস্ট আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, কানুনগো নজরুল ইসলাম, অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম, তহশিলদার মো. আলাউদ্দিন ও গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী আদালতের স্টেনো টাইপিস্ট আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দীর্ঘ বছর ধরে কলাপাড়া উপজেলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী জজ আদালত চত্বরের প্রায় ২.০৬ ভূমির ওপর নির্মিত সরকারী ভবনে বিচার কার্যক্রম চলছে। সম্প্রতি আদালত ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে আদালতের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

এই সুযোগে এসিল্যান্ডের নির্দেশে মামলার আসামিরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই আদালত চত্বরের ৫টি ১৫ ফুট লম্বা গাছ, যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ টাকা এবং পুকুর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ১ লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। সেসময় বাদী ও অন্যান্যরা বাধা দিলে আসামিরা তাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন।

আজ সোমবার দুপুরে আদালতে অভিযোগ দায়েরের পর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগটি আমলে নিয়ে কলাপাড়া থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। 

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ বলেন, যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে এখন বিষয়টি আইনগতভাবে ফয়সালা হবে।

কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহমেদ বলেন, 'আমি এখনো এ বিষয়ে জানি না। আদালতের আদেশ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments