খালে ঝাঁপ দিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামির পালানোর চেষ্টা, অবশেষে গ্রেপ্তার

খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন লালমনিরহাটের এক কলেজশিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার আসামি। তবে শেষ পর্যন্ত পালাতে পারেননি তিনি। খালের পানি থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খালের পানি থেকে তুলে আনার পর মাসুদ রানা। ছবি: সংগৃহীত

খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন লালমনিরহাটের এক কলেজশিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার আসামি। তবে শেষ পর্যন্ত পালাতে পারেননি তিনি। খালের পানি থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন ধর্ষণে অভিযুক্ত মাসুদ রানা (২৫)। গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে খালের পানিতে লাফিয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাকে ধরতে পুলিশ সদস্যরাও পানিতে ঝাঁপ দেন। গ্রেপ্তার করে তাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

অভিযুক্ত মাসুদ সাপ্টিবাড়ী গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ১৭ জুন সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের এয়ারপোর্ট এলাকায় এক কলেজশিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় প্রধান আসামি মাসুদ। গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেছেন ধর্ষণের অভিযোগকারী কলেজশিক্ষার্থী। এই ঘটনায় পুলিশ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

লালমনিরহাট থানা চত্বরে ধর্ষণের অভিযোগকারী কলেজশিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে দ্য ডেইলি স্টার। তিনি বলেছেন, মাসুদ রানাকে তিনি থানায় দেখে চিনতে পেরেছেন।

লালমনিরহাট সদর থানা ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, ওই কলেজশিক্ষার্থী কোনো অভিযুক্তের নাম বা পরিচয় বলতে পারেননি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Comments