চট্টগ্রাম

পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই, বেপজার নিরাপত্তাকর্মীসহ গ্রেপ্তার ৩

পুলিশ পরিচয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর সিইপিজেড থেকে এক পোশাককর্মীর বাবাকে তুলে নিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে বেপজার ১ নিরাপত্তাকর্মীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নগরীর ইপিজেড থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার বেপজার নিরাপত্তা প্রহরী, বেপজার নিরাপত্তায় নিয়োজিত গাড়ির চালক ও এক আনসার সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ পরিচয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর সিইপিজেড থেকে এক পোশাককর্মীর বাবাকে তুলে নিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে বেপজার ১ নিরাপত্তাকর্মীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নগরীর ইপিজেড থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার তাদের ছিনতাই ও অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

ইপিজেড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বেপজার নিরাপত্তা প্রহরী মারুফ বিল্লাহ (৩৭), বেপজার নিরাপত্তায় নিয়োজিত গাড়ির চালক সিরাজুল ইসলাম (৪০) ও আনসার সদস্য আকরাম হোসেন (২৮)।

মারুফ বিল্লাহ গত ১১ বছর ধরে ইপিজেডে নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে নিয়োজিত আছেন এবং তার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ছিনতাইয়ে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক নুরুজ্জামান জানান, 'ইপিজেডের জিএস পোশাক কারখানার এক কর্মী গত ১৪ তারিখ চাকরি ছেড়ে দিলে পাওনা বাবদ ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার চেক পান কারখানা থেকে। ওই টাকা তাকে ইপিজেডের ভেতরে বেপজা ভবনের ব্যাংক এশিয়া থেকে ক্যাশ করতে বলা হয়।'

'ওই কর্মী তার বাবাকে চেক দিয়ে বুধবার ব্যাংকে পাঠান। ব্যাংক থেকে টাকা ক্যাশ করে নেমে এলে মারুফসহ ৩ জন পুলিশ পরিচয়ে তাকে গাড়িতে তুলে পতেঙ্গার দিকে নিয়ে যায়,' বলেন তিনি।

বাবাকে খুঁজে না পেয়ে ওই পোশাক কর্মী থানায় গিয়ে পুলিশের সাহায্য চাইলে, পুলিশ অভিযানে নামে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া ইপিজেড থানার উপপুলিশ পরিদর্শক রানা প্রতাপ বণিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই পোশাককর্মী তার ভাইকে নিয়ে ইপিজেডে গেলে জানতে পারেন যে তার বাবাকে বেপজার সিকিউরিটির সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে।'

'পরে বাবার নম্বরে ফোন করলে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ফোনে জানানো হয় এবং টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয় বলে জানানো হয়,' বলেন তিনি।

তিনি জানান, পুলিশের অবস্থান বুঝতে পেরে গ্রেপ্তারকৃতরা পরে তাকে আগ্রাবাদ এলাকায় নামিয়ে দিয়ে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

Will anyone take responsibility for traffic deaths?

The Eid festivities in April marked a grim milestone with a record number of road traffic accidents and casualties.

9h ago