তারেকের বক্তব্য সরানোর নির্দেশ

আইনজীবীদের বিশৃঙ্খলা, এজলাস ছাড়লেন হাইকোর্টের ২ বিচারপতি

দেশটাকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন
স্টার ফাইল ফটো

প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের বৈধতা নিয়ে একটি ৮ বছরের পুরোনো রুল শুনানির সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের উত্তপ্ত কথোপকথন ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে।

বিশৃঙ্খলার মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের ২ বিচারপতি এজলাস কক্ষ ছেড়ে চলে যান।

এর আগে আজ সোমবার বিচারপতি মো. খায়রুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সময়ের সব বক্তব্য সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন।

সে সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, তারা বিচারপতি মো. খায়রুজ্জামানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছেন, তাই তিনি শুনানি করতে পারবেন না।

তারা 'শেইম শেইম' বলে চিৎকার করেন।

আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের হট্টগোলের প্রতিবাদ করলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরীন সিদ্দিকা লিনা হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেছিলেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি আদালত রুল দেন—তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না?

সরকার ও গণমাধ্যমের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে তারেক রহমান যতদিন পলাতক থাকবেন ততদিন তার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দেন আদালত।

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন। অন্যদিকে এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. বদরুদ্দোজা বাদল, মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, কায়সার কামাল ও গাজী কামরুল ইসলামসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একটি অংশ ছিলেন তারেক রহমানের পক্ষে।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, 'এটা কোনো অবস্থাতেই শোভন না। এটা সম্পূর্ণ আদালত অবমাননার সামিল।'

এদিন দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, 'আজকে আদালতে তারা যে কাজটা করেছে সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক। কজলিস্ট ছুড়ে মেরেছে আদালতের দিকে। এত উশৃঙ্খল আচরণ আদালতে করেছে যার ফলে বিচারপতি নেমে গেছেন এজলাস থেকে কিছু ক্ষণের জন্য। এটা কোনো অবস্থাতেই শোভন না। এটা সম্পূর্ণ আদালত অবমাননার সামিল।'

তিনি বলেন, 'যা করছে তারা, সব ক্ষেত্রে তারা একটা অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। এখানেও তারা একটি অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে চাচ্ছিল। তাদের কোনো রকম অথরিটি নেই; তারা বলছে যে, এই আদালতের ওপর অনাস্থা দিলো। অনাস্থা দেওয়ার তারা কে? তারা তো এই মামলার পার্টি না! তারা আদালতে অনাস্থা কী হিসেবে দেবে? কোন যুক্তিতে দেবে? অহেতুক কথা বলছে।'

আদালতের কার্যতালিকায় এলে রুলের শুনানি হবে বলেও এ সময় জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago