খাবার খেয়ে ফেলায় ১০ বছরের গৃহকর্মীকে হত্যা: পুলিশ

গতকাল যশোর থেকে অভিযুক্ত আসামি সাথীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নিজের মেয়ের জন্য রাখা খাবার খেয়ে ফেলায় ১০ বছরের গৃহকর্মীকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

তিনি জানান, শিশুটিকে ডাল-ঘুটনি দিয়ে পিটিয়ে ও পা দিয়ে গলা চেপে নির্মমভাবে হত্যা করেন গৃহকর্ত্রী সাথী পারভীন।

নির্যাতনের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে বাচ্চাটি সহ্য করতে পারেনি। তার নির্যাতনের চিত্র সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পেয়েছে পুলিশ।

গতকাল যশোর থেকে পলাতক আসামি সাথীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উপ-কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, সাথী বাসায় চারটি মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়ে ছিল। তার সঙ্গে কোনো মোবাইল ফোন ছিল না। জব্দ করা চার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ও প্রায় ২৫০ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সাথীর অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের একটি বাসায় শিশু সন্তান এবং ১০ বছরের গৃহকর্মীকে নিয়ে বসবাস করতেন সাথী। গত তিন বছর ধরে শিশুটি ওই বাসায় কাজ করছিল।

গত ২৫ আগস্ট শিশুটিকে নির্যাতন করা হয়। শিশুটি মারা যাওয়ার পর পালিয়ে যান সাথী।

শিশুটির বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। তার বাবা-মা দুজনই মৃত। তিন বছর আগে ময়মনসিংহে একটি ট্রেনিং করতে গিয়ে শিশুটির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসেন গৃহকর্ত্রী সাথী।

Comments