কুমিল্লা

যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পেটানোর অভিযোগে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পেটানো হচ্ছে।
যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পেটানোর অভিযোগে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পেটানোর ভিডিও। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মেঘনায় চুরির অভিযোগ যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পেটানোর ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. আলমসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকরতা মো. দেলোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। প্রথমটি চুরির অভিযোগে গাছে ঝুলিয়ে পেটানো ও নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি সদস্য মো. আলম ও অজ্ঞাত নামাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। অপরটি চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত মো. রাসেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।'

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামে এক যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পেটাচ্ছেন একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য। নির্যাতনের শিকার ওই যুবক কুমিল্লার হোমনা উপজেলার চম্পকনগর এলাকার মো. কুদ্দুসের ছেলে মো. রাসেল (৩২)। 

অভিযুক্ত বড়কান্দা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলম। 

ভিডিওতে দেখা যায়, রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে যুবককে ঝুলিয়ে পেটানো হচ্ছে। পেটাচ্ছেন পাঞ্জাবি পরা ইউপি সদস্য মো. আলম। এ সময় ওই যুবক 'আমারে মাপ করে দেন। আমি আর করুম না। আমারে মাফ করে দেন' বলে চিৎকার করছিলেন। এ সময় ওই ইউপি সদস্যকে তার শরীরে আবারও আঘাত করতে দেখা যায়। 

বড়কান্দা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন রিপন বলেন, 'বড়কান্দা ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামে গত ২০ থেকে ২৫ দিন আগে ১৮টি টিউবওয়েল চুরি হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মানুষ সচেতন হয়ে যায়। বুধবার রাতে বড়কান্দা গ্রামের মনির মির্জার বাড়িতে টিউবওয়েল চুরির সময় ওই যুবককে রাতে হাতেনাতে আটক করা হয়।' 

সকালে উৎসুক জনতা তাকে আটক করে মারধর করে। এ সময় আমাদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. আলম গিয়েও তাকে শাসন করেন। আমি ভিডিওটি দেখেছি। উনার আইন হাতে নেওয়া উচিত হয়নি।

এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, 'ঘটনাটির পর পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সে পুলিশের হেফাজতে আছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago