পুলিশের কাছ থেকে ‘অপহরণকারী’কে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পাহাড় ধস
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামে অপহরণের ১৩ দিন পর এক কলেজশিক্ষার্থীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে রাউজান থানা পুলিশ। অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিকে সঙ্গে নিয়ে আজ সোমবার সকালে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার দুর্গম পাহাড় এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর থানায় যাওয়ার সময় পুলিশের কাছ থেকে আসামি উমি চিং মারমাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। গণপিটুনিতে তিনি মারা যান।

অপহৃত শিবলী সাদিক হৃদয় (২০) রাউজান উপজেলার ৮ নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামের মো. শফিকের ছেলে। তিনি কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গত ২৮ আগস্ট রাতে কদলপুর এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। পরে অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় পড়াশোনার পাশাপাশি কদলপুরে একটি মুরগির খামারে চাকরি করত। সেখানে উমি চিং মারমাসহ আরও কয়েকজন চাকরি করতেন। গত প্রায় ২ মাস আগে খামারের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে হৃদয়ের ঝগড়া হয়। এর জেরেই হৃদয়কে অপহরণ করা হয় বলে দাবি পরিবারের।

সূত্র জানায়, অপহরণকারীদের ২ লাখ টাকা দিয়েছিলেন হৃদয়ের বাবা। পরে অপহরণকারীদের কথা অনুযায়ী তিনি বান্দরবানের ডুলাপাড়া এলাকায় গিয়ে হৃদয়কে না পেয়ে উমি চিং মারমাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।

ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অপহরণের ঘটনায় রোববার রাতে আসামি উমি চিং মারমাকে নগরীর সিঅ্যান্ডবি এলাকা থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান যে অপহৃত কলেজশিক্ষার্থীকে হত্যার পর তারা মরদেহ মাটিচাপা দিয়েছেন। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ সকালে তাকে নিয়ে কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী কাউখালীর পাহাড় থেকে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করি।'

'মরদেহ উদ্ধার করে ফেরার পথে কদলপুরে পঞ্চপাড়া গ্রামে এলে স্থানীয়রা পুলিশের পথ আটকে আসামি উমি চিংকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটুনি দেয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন,' বলেন ওসি।

পিটুনিতে হত্যার ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Mob violence now alarmingly routine

Rights groups say the state's failure to act swiftly and decisively has to some extent emboldened mobs and contributed to a climate where vigilante justice is becoming commonplace.

9h ago