গার্মেন্টস থেকে চুরি হওয়া কোটি টাকার কাপড় উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১০

পুলিশ জানায়, চোরেরা চট্টগ্রামের পটিয়ায় পাচুরিয়া হুলাইন এলাকার দি নীড অ্যাপারেলস (প্রা.) লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার ওয়্যারহাউস থেকে ১৪৮ রোল কাপড় চুরি করে। নগরীর কাটা পাহাড় এলাকায় চুরি যাওয়া কাপড়ের ১০১টি রোল পাওয়া যায়।
গার্মেন্টসের আমদানি করা কাপড় চুরির অভিযোগে সন্দেহভাজন চোর চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

পোশাক কারখানার জন্য আমদানি করা কাপড় চুরি করে বাজারে বিক্রির চেষ্টায় চোর চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চোরদের কাছ থেকে ১০১ রোল কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি টাকা।

পুলিশ জানায়, চুরি করা কাপড়গুলো তারা ভুয়া চালানের মাধ্যমে নগরীর টেরিবাজার এলাকায় বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল।

গ্রেপ্তার ১০ জন হলেন মো. আবুল বশর প্রধান (৪৫), মোহাম্মদ ফারুক (৪০), মোহাম্মদ হৃদয় (২০), মোহাম্মদ মুজিবুল হক (৪৫), মো. পারভেজ (২৬), মো. ইউসুফ প্রকাশ ইউসুফ ভান্ডারি প্রকাশ কালু (৫২), মো. আলমগীর (৩৮), মো. সামছুল আলম (৫৩), মো. মাসুদ আলম প্রকাশ ওরফে পিচ্চি মাসুদ (৪৭) ও মো. আরিফুর রহমান চৌধুরী (৪০)। আসামিদের মধ্যে প্রথম ৫ জনকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের শুক্রবার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিচ্চি মাসুদ ও কালু চোর চক্রটির মূল হোতা। তাদেরকে আজ আদালতে পাঠানো হবে।

পুলিশ জানায়, চোরেরা গত ১৮, ২৩ এবং ২৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়ায় পাচুরিয়া হুলাইন এলাকার দি নীড অ্যাপারেলস (প্রা.) লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার ওয়্যারহাউস থেকে ১৪৮ রোল কাপড় চুরি করে। নগরীর কাটা পাহাড় এলাকায় চুরি যাওয়া কাপড়ের ১০১টি রোল পাওয়া যায়। একটি মিনি ট্রাকের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় কাপড়গুলো পায় পুলিশ।

পিবিআই সহকারী পুলিশ সুপার এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গার্মেন্টস থেকে কাপড় চুরির ঘটনায় আন্তজেলা চোর চক্রের ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে কয়েকজন সরাসরি কাপড় চুরি করেন; কেউ মধ্যস্থতা করেন; অন্যরা চুরি করা কাপড় কম দামে কিনেন। পুরো চক্রটিকে গ্রেপ্তারে আমরা কাজ করছি। এদের অনেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও কাপড় চুরির সঙ্গে জড়িত। যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে ৫ জন মধ্যস্থতাকারী।'

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ১৮ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্টের মধ্যে ৩ দিন রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে আসামিরা মুখোশ পরে জানালার গ্রিল কেটে দি নীড অ্যাপারেলসের ওয়্যারহাউস থেকে কাপড়গুলো চুরি করে। চুরি করা কাপড় পিকআপ ট্রাকে করে নিয়ে যান তারা। এই ফুটেজের সূত্র ধরে নগরীর কাটাপাহাড় এলাকা থেকে কাপড়গুলো উদ্ধার করা হয়।'

তিনি আরও বলেন, চোর চক্রের হোতা কালু আর মাসুদের ব্যবহার করা একটি প্রাইভেট গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। এই গাড়িতে চড়েই তারা কাপড় চুরির নেতৃত্ব দেন।

Comments