নোয়াখালী

ঘুমন্ত কয়েদির দুই চোখ খুঁচিয়ে আহত করল আরেক কয়েদি

এ ঘটনায় নোয়াখালী কারাগারের জেলার মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার বিকেলে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
নোয়াখালী জেলা কারাগার। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী জেলা কারাগারে এক ঘুমন্ত কয়েদির ওপর হামলা করে দুই চোখ খুঁচিয়ে আহত করেছেন আরেক এক কয়েদি।

চোখে আঘাতপ্রাপ্ত কয়েদিকে আজ রোববার সকালে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে ঢাকা জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। 

নোয়াখালী কারাগারের ডেপুটি জেলার সৈয়দ মো. জাবেদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হামলার শিকার নুর হোসেন বাদল (৩২) বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি।

তার ওপর হামলা করা কয়েদি মহিন উদ্দিন মহিন (৩০) মাদক মামলার আসামি।

এ ঘটনায় নোয়াখালী কারাগারের জেলার মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার বিকেলে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন বলে ডেপুটি জেলার জাবেদ হোসেন জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা কারাগারের এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলার প্রধান আসামী নুর হোসেন বাদল রোববার ভোরে কারাগারের সৈকত ভবনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুমিয়ে ছিলেন। লকআপ আনলক করলে পূর্ব শত্রুতার জেরে ৯৪৪ নম্বর কয়েদি মাইন উদ্দিন একটি কলম দিয়ে বাদলের ওপর হামলা চালায়। কলমের আঘাতে বাদলের ২ চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।'

তিনি জানান, নারী নির্যাতন মামলায় বাদল ২ বছর ধরে কারাগারে আছেন। মহিন জামিনে মুক্ত ছিলেন। মাদক সেবনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

জানতে চাইলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহি উদ্দীন আব্দুল আজিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেল পুলিশ সকালে কারাগার থেকে এক বন্দিকে চোখে ইনজুরি নিয়ে জরুরি বিভাগে আসে। তার চোখের অবস্থা গুরুতর। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'

ডেপুটি জেলার সৈয়দ মো. জাবেদ হোসেন বলেন, 'জেলের বাইরের শত্রুতার জেরে চোখে হামলার ঘটনা ঘটেছে। চোখ উপড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেনি। আহত হাজতিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।'

Comments