শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবুল মাসে ৪০-৪৫ লাখ পিস ইয়াবা আনতেন: র‌্যাব

জাফরুল ইসলাম প্রকাশ ওরফে বাবুল মেম্বার। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফের শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ও অস্ত্র ব্যবসায়ী জাফরুল ইসলাম প্রকাশ ওরফে বাবুল মেম্বার প্রতি মাসে মিয়ানমার থেকে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ পিস ইয়াবা বাংলাদেশে ঢোকাতেন বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাবের ভাষ্য, বাবুল টেকনাফে মাদক চোরাচালানের গডফাদার হিসেবে পরিচিত। তিনি মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এলাকায় ২০-২৫ জনের একটি চক্র গড়ে তুলেছিলেন। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি তারা এলাকায় চাঁদাবাজি, স্বর্ণ চোরাচালান, অস্ত্র ব্যবসা, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, চোরাই পথে গবাদি পশু চোরাচালান ও পাহাড় কাটাসহ আরও অনেক অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফের কাটাখালী এলাকা থেকে প্রায় ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি বিদেশি পিস্তলসহ বাবুলকে আটকের কথা জানায় র‌্যাব।

পরে দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাবুলের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

খন্দকার আল মঈন বলেন,  বাবুলের নামে হত্যা-মাদকসহ অন্তত ১০টি মামলার খোঁজ পাওয়া গেছে। তিনি মাদক চোরাচালান ছাড়াও স্বর্ণ চোরাচালান অস্ত্র ব্যবসা এবং ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার চাঁদাবাজি এবং অনৈতিকভাবে অন্য চোরাকারবাীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন।

'তিনি ২০২১ সালে পালংখালি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি সবসময় আত্মগোপনে থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং মাদক ব্যবসার কার্যক্রমসহ অন্যান্য চোরকারবারী ব্যবসা করে আসছিলেন।'

মানুষের কাছে বাবুল নিজেকে চিংড়ি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতেন জানিয়ে মঈন আরও বলেন, '২০০১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন বাবুল। তা স্থগিত করে ২০৩-৪ সালে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ২০০৫ সালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন তিনি। তখন জাবু নামের একজনকে হত্যায় তার নাম আসে। তার স্ত্রী একজন এমবিবিএস ডাক্তার। ২০০৮ সালে সর্বপ্রথম মাদকের মামলা হয়।'

পালংখালী ইউনিয়ন এলাকায় বাবুলরা প্রভাবশালী ছিলেন জানিয়ে মঈন বলেন, 'বাবুলের বাবাও ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ওই এলাকার মেম্বার ছিলেন।'

২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে এসে কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া এক মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীর সঙ্গে বাবুলের পরিচয় হয় জানিয়ে খন্দকার মঈন বলেন, 'ওই সন্ত্রাসীর মাধ্যমে বাবুল প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে নিয়ে আসতেন। পরে তার নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতেন। এ ছাড়া স্বর্ণ চোরাচালান থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি টাকা লভ্যাংশ পেতেন তিনি।'

Comments

The Daily Star  | English

KMP headquarters surrounded, gate locked over SI Sukanta's release

The protest programme will continue until SI Sukanta is arrested, said the demonstrators

35m ago