খাস জমি নিয়ে বিরোধ, রাজবাড়ীতে শ্রমিক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

আবদুল আজিজ পাশের মরাবিলা গ্রাম থেকে মোটর সাইকেলে বাড়িতে ফেরার সময় রাত ৮টার দিকে কোনাগ্রামে হামলাকারীরা বাঁশ দিয়ে তার গতিরোধ করে। এসময় তিনি মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গেলে আবদুল আজিজকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে নারুয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহসভাপতি আবদুল আজিজকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

আবদুল আজিজ বালিয়াকান্দী উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামের বাসিন্দা আজের আলী মন্ডলের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানায়, গড়াই নদীর চর নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন আবদুল আজিজ মহাজন ও চাষি আমজাদ। অপরপক্ষের নেতৃত্বে আছেন স্থানীয় শাহাদত হোসেন মাস্টার ও রেজাউল ইসলাম। 

গতকাল আবদুল আজিজ পাশের মরাবিলা গ্রাম থেকে মোটর সাইকেলে বাড়িতে ফেরার সময় রাত ৮টার দিকে কোনাগ্রামে হামলাকারীরা বাঁশ দিয়ে তার গতিরোধ করে। এসময় তিনি মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গেলে আবদুল আজিজকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।

নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, চর ও জমিজমা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, খাস জমি নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দিতেন আজিজ মহাজন। রাতে রাস্তায় গতিরোধ করে তাকে পায়ে কোপানো হয়। মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। ঢাকা নেওয়ার সময় তিনি মারা যান। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

 

Comments