ছেলের সামনে বাবাকে হত্যা

সিআইডিকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আদালতের আদেশ

রাজধানী ঢাকার পল্লবীতে ২০২১ সালের ১৬ মে প্রকাশ্যে শাহিনউদ্দিনের সাত বছর বয়সী ছেলের সামনে তাকে হত্যা করা হয়।
সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার একটি আদালত আজ সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ব্যবসায়ী শাহিনউদ্দিন হত্যা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) অধিকতর তদন্ত ভার দিয়েছে।

রাজধানী ঢাকার পল্লবীতে ২০২১ সালের ১৬ মে প্রকাশ্যে শাহিনউদ্দিনের সাত বছর বয়সী ছেলের সামনে তাকে হত্যা করা হয়।

শাহিনউদ্দিনের মা আকলিমা বেগম আজ সোমবার এই মামলায় নারাজি আবেদন করার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

ম্যাজিস্ট্রেট একইসঙ্গে সিআইডিকে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন।

আবেদনে বাদি জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিকভাবে তদন্ত করেননি। এ কারণে তিনি নারাজি আবেদন করছেন এবং ভিন্ন কোনো সংস্থাকে তদন্ত পরিচালণার অনুরোধ জানিয়েছেন।  

গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন আদালতে ১৬ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। তাতে পুরোনো আসামিদের সঙ্গে প্রতীক আহমেদ সজীব নামে নতুন করে একজনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আকলিমা বেগম নারাজি দেওয়ার পরে গত বছরের ১২ মে ঢাকার আরেকটি আদালত পিবিআইকে অধিকতর তদন্ত ভার দিয়েছিলেন।

নয় মাস পরে গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তাতে বলা হয়, আউয়ালের নির্দেশেই ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আউয়াল ও আরও ১৪ জন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগ থেকে ১৩ আসামির নাম বাদ দেন। তিনি জানান, তদন্তে এই অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

আউয়ালসহ সব আসামিই বর্তমানে জামিনে আছেন। আজকের শুনানির সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

Comments