নাটোর

আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ করলেন সেই ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থীরা

‘মঙ্গলবার সমিতির সভা ডাকা হয়েছে।’
nator-lawyears
নাটোর আইনজীবী সমিতির নতুন ভবনে বিচারপ্রার্থীকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

আইনজীবী ও সহকারীদের (মোহরার) হাতে লাঞ্ছিত হওয়া সেই বিচারপ্রার্থীরা (মক্কেল) বিচার চেয়ে আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সোমবার বিকেলে নাটোর আইনজীবী সমিতিতে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ভুক্তভোগী মো. আসাদুজ্জামান লিখন।

লিখিত অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গত রোববার লিখনসহ তার ভাই মো. সাইদুজ্জামান লিমন, মো. খালেকুজ্জামান লালন, মো. হামেদুর রহমান বন্ধন, মো. হান্নান আলী মিঠু, মো. জামাল হোসেন ও মো. জাহেদ আহম্মেদ (সাজিদ) মোহরকয়া গ্রামের মো. আ. রাজ্জাক মন্ডলের দায়ের করা মামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা ও জবাব দাখিল করে কোর্ট চত্বরে বকুল গাছের এলাকায় অবস্থান করছিলেন। রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে অ্যাডভোকেট মো. শাহ মুখদম (রূপম), তার জুনিয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান সৈকতসহ সহকারীদের সঙ্গে নিয়ে আমাদেরকে বাঁশের লাঠি দিয়ে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে, প্রচণ্ডভাবে মারপিট করে এবং অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ করে।

ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে এর সুষ্ঠু বিচার করার আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আসাদুজ্জামান লিখন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অফিসে ছিলেন না। আমরা তাকে জানিয়ে অফিসে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি। সমিতির নেতারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন মিটিং করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।'

নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরী বলেন, কয়েকজন আইনজীবী ও মোহরারের বিরুদ্ধে সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সমিতির সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি আলাপ-আলোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago