পটুয়াখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মির্জাগঞ্জের দেউলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বয়োজ্যেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা সাদেম হাওলাদার ওই রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, একই এলাকার কবির গাজীর ছেলে অলিউল্লাহ গাজী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, অলিউল্লাহ মির্জাগঞ্জ উপজেলা শহরের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একজন কর্মী।

মুক্তিযোদ্ধা সাদেম হাওলাদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, একই গ্রামে তার বোনের স্বামীর বাড়ির বাসিন্দা অলিউল্লাহ। পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুদিন আগে বোনের সঙ্গে অলিউল্লাহর ঝগড়া হয়। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের দেউলী বাজারে অলিউল্লাহ কয়েকজন সঙ্গীসহ তার ওপর চড়াও হয়। সে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে ব্যর্থ হয়ে জুতা দিয়ে সাদেম হাওলাদারকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে থামায়।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আব্দুল আজিজ মল্লিক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।'

স্থানীয় স্বপন গাজী বলেন, 'সাদেম হাওলাদার একজন প্রবীণ ব্যক্তি, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সবাই তাকে সম্মান করে। তার ওপর এ জঘন্য হামলা ন্যক্কারজনক। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।'

দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাওন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে অলিউল্লাহর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এ বিষয়ে জানতে অলিউল্লাহ ও তার বাবা কবির গাজীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা সাড়া দেননি।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাটি দুঃখজনক। ভুক্তভোগী সাদেম হাওলাদার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।'

মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েমা হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একজন মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে অপদস্থ করা দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।'

Comments