জমি নিয়ে বিরোধে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক আছেন।
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গাজীপুরে এক কলেজের সহকারী অধ্যাপককে (৫৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে।

রোববার বিকেল সাড়ে চারটার কালিয়াকৈর উপজেলার সাজনধারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই শিক্ষকের নাম রেজা সাঈদ আল মামুন। তার বাবার নাম কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সাজনধারা গ্রামের আফাজ উদ্দিন। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।

তার ছোট ভাই ও দুই ভাতিজার বিরুদ্ধে তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে তারা তিনজন পলাতক আছেন।

মামুনের মেয়ে সুমাইয়া শাহরিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বাবা সকালে কলেজে যান। দুপুরে কলেজ থেকে বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে বাড়ির পাশেই জমিতে জমে থাকা আগাছা পরিষ্কার করছিলেন। সেই সময় চাচা মজিবুর ও চাচাত ভাই সুমন ও সেজান পেছন দিক থেকে হঠাৎ বাবাকে মারধর করে হত্যার পর ফেলে রাখে। তারা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আমার বাবাকে হত্যা করেছে। এর আগেও কয়েকবার আমার বাবাকে তারা মারধর করেছে। পরে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন অচেতন অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।'

মামুনের শ্যালক আল মামুন জানান, তার বোনজামাই ভাইদের নির্যাতনের কারণে দীর্ঘদিন কালিয়াকৈর উপজেলার লতিফপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত দুই বছর আগে তিনি আবার গ্রামের বাড়ি ফিরে আসেন। সেখানে যাওয়ার পর ভাইদের সঙ্গে জমিজমা দিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। খবর পেয়ে আজ রাত ৮টার দিকে কালিয়াকৈর থানার পুলিশ কলেজ শিক্ষক মামুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে পাঠায়।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মো. নাসিম ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ওই কলেজ শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

কালিয়াকৈর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন রোববার রাতে ডেইলি স্টারকে জানান, নিহত কলেজ শিক্ষকের স্ত্রী থানায় মামলা করতে এসেছেন। এখনো মামলা রুজু হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

1h ago