অপরাধ ও বিচার

অবৈধ সম্পদ: ডাক বিভাগের কর্মচারীর ৯ বছরের কারাদণ্ড, ২৯ লাখ টাকা জরিমানা

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ডাক বিভাগের এক কর্মচারীকে ৯ বছরের কারাদণ্ড ও ২৮ লাখ ৯১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. হাবিবুর রহমান গাইবান্ধার ডাক বিভাগের কর্মচারী।
দুদক

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ডাক বিভাগের এক কর্মচারীকে ৯ বছরের কারাদণ্ড ও ২৮ লাখ ৯১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. হাবিবুর রহমান গাইবান্ধার ডাক বিভাগের কর্মচারী।

আজ সোমবার দুপুরে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হায়দার আলী আসামির উপস্থিতিতে সাজা ঘোষণা করেন। জরিমানার অর্থ ৬০ দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে তাকে।

দুদকের সহকারী পরিচালক বীরকান্ত রায় বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলা করেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ডাক অপারেটর হাবিবুর রহমান ভুয়া সঞ্চয়পত্রের কাগজপত্র তৈরি করে অর্থ আত্মসাৎ করেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাসিক ২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করলেও তিনি আত্মসাৎ করা অর্থ দিয়ে একটি তিনতলা ভবন ও ৪৫ বিঘা জমির মালিক হয়েছিলেন। নিজের সন্তানদের নামেও ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রেখেছিলেন তিনি।

তার ওই সম্পত্তি জ্ঞাত আয়ের বাইরে হওয়ায় মামলা করে দুদক।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হারুন অর রশীদ জানান, নথিপত্র ও সাক্ষ্য যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার আদালত এ রায় দেন। জরিমানার অর্থ ৬০ দিনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।

দুদকের পিপি জানান, হাবিবুরের বিরুদ্ধে আরও ১০টি মামলা রয়েছে।

এর আগে কুড়িগ্রামে ৫৬ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের মামলায় তাকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। দুর্নীতির মামলায় আরও ৯ বছরের সাজা পেলেন তিনি।

Comments