মিয়ানমারে গিয়ে অস্ত্র নিয়ে আসা ২২ রোহিঙ্গা ৩ দিনের রিমান্ডে

অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে আসা ২২ রোহিঙ্গাকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্প থেকে মিয়ানমারে যাওয়া ও পরে অস্ত্রসহ ফিরে আসা ২৩ রোহিঙ্গার মধ্যে ২২ জনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা শুনানি শেষে ২২ জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে অসুস্থ থাকায় একজনকে রিমান্ডে পাঠাননি বিচারক।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েব সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে দায়ের করা অস্ত্র মামলায় ২৩ জনকে গত শনিবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে আজ শুনানির দিন ধার্য করেন।

পুলিশ পরিদর্শক নাছির উদ্দিন জানান, মিয়ানমার থেকে অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার পর গ্রেপ্তার হওয়া ২৩ জনের সবাই রোহিঙ্গা। তারা উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালং এর বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। স্বাভাবিক কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে এসব রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু কী কারণে তারা মিয়ানমারে গেল আর তাদের হাতে অস্ত্র কেন, এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যের পাশাপাশি অস্ত্রধারী এসব রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছিল। পরে ৯ ফেব্রুয়ারি বিজিবি বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে ২৩ জনের নামে মামলা করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তারা হলেন, উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্পের মৃত কবির আহমদের ছেলে মো. হোসেন আহমদ (৩০), একই ক্যাম্পের মো. ইউনুসের ছেলে মো. রফিক (২৩), আ. রাজ্জাকের ছেলে আয়াতুল্লাহ (৩০), ৯ নম্বর ক্যাম্পের মো. রফিকের ছেলে মো. জুনাইদ (১৯), একই ক্যাম্পের নুর কালামের ছেলে মো. হারুন (২৩), সমসের আলমের ছেলে মো. কায়সার (১৯), রশিদ আহমেদের ছেলে মো. সাবের (১৯), ১০ নম্বর ক্যাম্পের আবদুল্লাহর ছেলে ওসামা (১৯), একই ক্যাম্পের জাফর আলমের ছেলে ওমর ফারুক (১৯), মো. তোহার ছেলে মো. সাদেক (১৯), মকবুল আহমদের ছেলে হারুন অর রশিদ (২৪), হামিদ হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১৯), দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. ইসমাইল (১৯), মো. হোসেনের ছেলে মো. রহিম (১৯), ১১ নম্বর ক্যাম্পের আতা উল্লাহর ছেলে নজু মোল্লা (৩৮), ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মো. সৈয়দের ছেলে সৈয়দ উল্লাহ (১৯), একই ক্যাম্পের দিল মোহাম্মদের ছেলে হাফেজ আহমেদ (১৯), ২০ নম্বর ক্যাম্পের মো. রশিদের ছেলে মো. জোবায়ের (১৯), কুতুপালং এলাকার ৬ নম্বর ক্যাম্পের ইউসুফের ছেলে আব্দুল্লাহ (২০), একই এলাকার ৩ নম্বর ক্যাম্পের আবুল হাসেমের ছেলে এনামুল হাসান (২২), ২ ক্যাম্পের ইমাম হোসেনের ছেলে মো. রফিক (২৪), একই ক্যাম্পের মৃত আবুল কালামের ছেলে সৈয়দুল ইসলাম (২৪), ৭ নম্বর ক্যাম্পের মৃত মো. জলিলের ছেলে মো. আরমান (২১)।

তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, এসএমজি পাঁচটি, জি-৩ রাইফেল একটি, পিস্তল দুইটি, রিভলভার চারটি। গুলির মধ্যে রয়েছে এসএমজি গুলি ১৯৮ রাউন্ড, এমজি গুলি ৯৮ রাউন্ড, রাইফেলের গুলি ২৭৬ রাউন্ড, জি-৩ রাইফেলের গুলি ১০৩ রাউন্ড, পিস্তলের গুলি ১৯৩ রাউন্ড, পিস্তলের খালি কার্তুজ ২৫ রাউন্ড, রাইফেলের গ্রেনেড ফিউজ পাঁচ রাউন্ড, এসএমজি ম্যাগাজিন ছয়টি, এলএমজি ম্যাগাজিন চারটি, জি-৩ ম্যাগাজিন একটি, পিস্তল ম্যাগাজিন দুইটি।

Comments

The Daily Star  | English

Türk concerned over changes in Bangladesh's legislation banning activities of parties

"This [the changes in legislation] unduly restricts the freedoms of association, expression, and assembly," says the UN high commissioner for human rights

16m ago