বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন: নিহত ৪ জনের মরদেহ পরিবারে হস্তান্তর
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিহত চার জনের মরদেহ আজ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহ চারটি হস্তান্তর করা হয়।
গত ৫ জানুয়ারি বেনাপোল এক্সপ্রেসে দেওয়া আগুনে নিহত হন-- পুরান ঢাকার নাতাশা জেসমিন নেকি (২৫), রাজবাড়ীর আবু তালহা (২৩), চন্দ্রীমা চৌধুরী সৌমি (২৮) ও এলিনা ইয়াসমিন (৪৪)।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।
তিনি জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারটি মরদেহ একেবারেই পোড়া ছিল দেখে শনাক্ত করার পর্যায়ে ছিল না। পরে আদালতের আদেশে দাবিকৃত স্বজনদের ও পোড়া মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে থেকে স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন তার ভাই মনিরুজ্জামান মামুন। নাতাশার জেসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই খুরশীদ আহমেদ। আবু তালহার মরদেহ গ্রহণ করেন মামা মনিরুল ইসলাম এবং চন্দ্রীমা চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এলিনা ইয়াসমিনের স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন চপল বলেন, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার স্ত্রীসহ কয়েকজন মারা গেলেন। আমার বাচ্চা সারাজীবন কী বলবে? বাচ্চাটি কীভাবে মুল্যায়ন করবে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সাধারণ জনগণ কেন ভোগ করবে? এগুলো থেকে মুক্তি চাই।'
নাতাশার বড় ভাই খুরশীদ আহম্মেদ বলেন, 'দীর্ঘ ৪০ দিন অপেক্ষার পর আমার বোনের মরদেহ বুঝে পেলাম। এই ৪০ দিন যে আমাদের পরিবার কীভাবে কাটিয়েছে তা বোঝানো যাবে না। এরকম ঘটনার শিকার যেন কেউ না হয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।'
Comments