হল-মার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন
সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আজ ঢাকার একটি আদালত হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদসহ নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম আদালত কক্ষে আট আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে আদালত সূত্র জানায়।
মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১৭ জন হলেন—জেসমিন ইসলাম, তানভীর মাহমুদ, জেসমিনের ভাই তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনুল হক, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর মহিদুর রহমান, ননী গোপাল নাথ, সফিজ উদ্দিন আহমেদ ও সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান, সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও এর ধানমন্ডি শাখার সাবেক সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নিসা মেরি, নকশি নিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মালেক, প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজা, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেডের পরিচালক তসলিম হাসান ও সাভারের তেঁতুলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন সরকার।
রায়ে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় তানভীর ও জেসমিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ৪২০ ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয় তাদের।
সাইফুল হাসান, আবদুল মতিন, তুষার আহমেদ, মীর জাকারিয়া, সাইফুল ইসলাম রাজা, আবদুল মালেক ও তসলিম হাসানকে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৪২০ ও ১০৯ ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মেহেরুন্নিসা মেরি, মীর মহিদুর রহমান, মইনুল হক, সফিজ উদ্দিন আহমেদ, কামরুল হোসেন খান, হুমায়ুন কবির ও ননী গোপাল নাথকে ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৪২০ ও ১০৯ ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জামাল উদ্দিন সরকারকে ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ৪২০ ও ১০৯ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে তানভীর, জেসমিন, তুষার, মীর মহিদুর, সফিজ, মইনুল, কামরুল ও মালেক এখন কারাগারে আছেন এবং জামাল জামিনে রয়েছেন। বাকি আট জন পলাতক।
বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের মোট ৫৭ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
২০১৬ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার অপর একটি আদালত এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
২০১২ সালের ১২ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর দুদক মামলায় ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
Comments