কলেজশিক্ষার্থীর খেতের সবজি কেটে ফেলল প্রতিবেশী
নরসিংদী সদরের আলোকবালীতে কলেজশিক্ষার্থীর একমাত্র আয়ের উৎস ছিল একটি সবজি খেত। এই খেতের আয় দিয়ে তিনি পড়াশোনাসহ সব খরচ চালাতেন।
কিন্তু প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আজ শুক্রবার সকালে তার খেতের সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে এবং তার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান ঢাকা সোহরাওয়ার্দী কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং আলোকবালী ইউনিয়নের বকশালীপুর গ্রামের জলফু মিয়া ওরফে জলিল মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, দুই বছর আগে নরসিংদী দেওয়ানি আদালতের রায় পেয়ে একটি জমিতে সবজি চাষ করছিল।
কিন্তু অভিযুক্ত প্রতিবেশী ইস্কান্দার মির্জা আদালতের রায় মেনে না নিয়ে, জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এর ধারাবাহিকতায় আজ সকালে ইস্কান্দার মির্জা লোকজন নিয়ে ওই জমিতে লাগানো সবজির গাছ কেটে ফেলে।
ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুই বছর আগে বাবা মারা গেছেন। তারপর কিছু ধান চাষের জমি ও এই সবজির জমি থেকে আয় দিয়ে মাকে নিয়ে কোনোভাবে খুব কষ্টে জীবন চালাচ্ছিলাম।'
আজ সকালে সবজি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, '৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে লাউ, ধুন্দল, সিমসহ বিভিন্ন সবজির চাষ করেছিলাম। মাত্র একটি চালান গত সপ্তাহে বিক্রি করেছি।'
এ ঘটনায় তারা থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
যোগাযোগ করা হলে আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদ উল্লাহ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদালত থেকে কামরুলের বাবা জলিল মিয়া রায় পেয়েছে। একই দাগের ওপর আবার ইসকান্দার মামলা করেছে। স্থানীয়ভাবেও রায় কামরুলদের পক্ষে ছিল। কিন্তু সকালে জানতে পারলাম, কামরুলের সবজির বাগান কেটে ফেলা হয়েছে।'
সবজি গাছ কাটার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইস্কান্দর মির্জা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার জায়গা জোর করে দখলে নিয়ে সবজি চাষ করায় আমি এগুলো পরিষ্কার করে জায়গা দখলে নিয়েছি। তাছাড়া, আমার জায়গা বুঝে নিতে আমি নরসিংদীর আদালতে মামলাও করেছি।'
যোগাযোগ করা হলে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভীর আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কাছে এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments