ভরদুপুরে বান্দরবানের থানচি বাজারের সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি

ব্যাংকের ভেতরে টাকা তুলতে যাওয়া একাধিক ব্যক্তি ডেইলি স্টারকে জানান, ডাকাতরা পাঁচ মিনিটের মতো ব্যাংকের ভেতরে ছিল। এই সময়ের মধ্যে তারা গুলি চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে সব টাকা লুট করে নিয়ে চলে যায়।
Bandarban Map
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

এবার ভরদুপুরে বান্দরবানের থানচি বাজারে গুলি চালিয়ে দুটি ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন।

দুপুর ২টার দিকে ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'দুটি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি হয়েছে। সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ লাখ এবং কৃষি ব্যাংক থেকে প্রায় ৫-৭ লাখ টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতরা।'

তিনি আরও বলেন, 'ডাকাতরা ব্যাংকের ভল্ট খুলতে পারেনি। তারা কাউন্টারে রাখা ও গ্রাহকদের উত্তোলন করা টাকা নিয়ে গেছে। ভীতি সৃষ্টি করতে ডাকাতরা ব্যাংকের ভেতরে ব্যাপক গোলাগুলি করেছে।'

স্থানীয়রা জানান, সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে থানচি বাজার ঘিরে ফেলে ডাকাতরা। তারা ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের মুখে সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা ব্যাংক দুটির ভেতরে ঢুকে পড়ে।

থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা, একটি বিজিবি ক্যাম্প এবং থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট।

ব্যাংকের ভেতরে টাকা তুলতে যাওয়া একাধিক ব্যক্তি ডেইলি স্টারকে জানান, ডাকাতরা পাঁচ মিনিটের মতো ব্যাংকের ভেতরে ছিল। এই সময়ের মধ্যে তারা গুলি চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে সব টাকা লুট করে নিয়ে চলে যায়।

তারা জানান, ভেতরে ঢুকেই ডাকাতরা নিরাপত্তারক্ষীর অস্ত্র কেড়ে নেয় এবং গ্রাহক ও কাউন্টার থেকে সব টাকা বস্তায় করে নিয়ে বের হয়ে যায়।

থানচি বাজারে ঘটনার সময় উপস্থিত বেশ কয়েকজন ডেইলি স্টারকে জানান, ডাকাতদের মধ্যে ১৫-২০ জন অস্ত্র নিয়ে বাজারের পাশে সাঙ্গু সেতুতে পাহারা দিচ্ছিল। একই সময়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে অন্তত ২০ জন করে ঢুকে পড়ে। তারা লুট করে আবার প্রায় একই সময়ে বের হয়ে যায়।

তারা আরও জানান, ঘটনার সময় ব্যাংকের সামনে বেশ কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্য ছিলেন। সশস্ত্র ডাকাতরা হাঁকডাক দিয়ে বাজারে ঢুকে পড়লে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা পালিয়ে যান।

Comments