কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে জাসদ ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রকাশ্যে জাসদ ছাত্রলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত নাইফ আহমেদ তুষার বেসরকারি প্রাইম ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তুষারের এক বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ ডেইলি স্টারকে বলেন, ঘটনার সন্ধ্যায় গোলাপনগর বাজারের পার্শ্ববর্তী একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন তুষার, জেমস ও তাদের বন্ধুরা। এ সময় আট-নয়টি মোটরসাইকেলে ১৭-১৮ জনের একটি দল হামলা চালায়।

পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সূত্রে জানা গেছে, দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলে প্রথমে কিছুক্ষণ মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। পরে তারা তুষারকে ধাওয়া করেন। প্রাণ বাঁচাতে তুষার দৌড়ে পার্শ্ববর্তী খাইরুল ইসলামের বাড়ির সামনে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। তখন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা।

হত্যার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) মহসীন আল মুরাদ বলেন, প্রাথমিকভাবে তুষারের বন্ধু জেমসকে আটক করা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এর আগে সোহাগ নামে এক বিএনপি নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় তুষারকে আসামি করে থানায় মামলাও হয়।

পূর্বশত্রুতার বিষয়ে পলাশ কান্তি নাথ বলেন, গত সেপ্টেম্বরে ভেড়ামারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আল হোসাইন সোহাগকে মারপিটের মামলায় তুষার আসামি ছিলেন। ওই মামলার যারা সাক্ষি, এ ঘটনায় তারা আসামি হতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরেই খুন হন তুষার।

এদিকে জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অসিত সিংহ রায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনাকে নৃশংস, পৈশাচিক ও বর্বরোচিত হিসেবে উল্লেখ করেন অসিত।

নিহত তুষারের বাবা রবিউল ইসলাম রবি ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদের সাংগঠিক সম্পাদক। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা ছেলের লাশ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছি। কেন, কী কারণে আমার সন্তানকে খুন করা হতে পারে, তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

নিহতের ছোট বোন শাপলা ডেইলি স্টারকে বলেন, তুষার রাজধানীর প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ঈদ উপলক্ষে ১৭ রোজায় ছুটিতে তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago