নরসিংদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

নিহত মাহাবুবুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হাসানকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন এবং তাদের ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়ার ভগীরথপুর এলাকার শাহী ঈদগাহের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন। 

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন, হাবিবুর রহমান, হিমেল মিয়া, জুয়েল মিয়া, নোবেল মিয়া, রাব্বি মিয়া এবং মিঠু। তারা বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান অমিত আজহার প্রান্তের অনুসারী বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে ভগীরথপুরে নিজের দলীয় কার্যালয় থেকে সহযোগী সাঈদ হাসান পাপ্পু ও মাহালমকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন মাহাবুবুল হাসান। এসময় শাহী ঈদগাহের সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মাহবুবুল হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। তার দুই সহযোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও মাহমুদুল কবির বাসার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতরাতে মাহবুবুলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার ঘাড়, গলাসহ বিভিন্ন স্থানে গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। অপর দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'

নিহত মাহাবুবুল হাসানের ভাই ওয়ালী উল্লাহ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অমিত আজহার প্রান্ত ও তার লোকজনের সঙ্গে ভাইয়ের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এ দ্বন্দ্ব থেকেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।'

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের সঙ্গে মাহাবুবুল হাসানের বিরোধ তৈরি হয়। এ ছাড়া, আগে থেকেই তাদের মধ্যে বিভিন্ন কারণে দ্বন্দ্ব ছিল। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার নিহতের দাফন শেষে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে।'

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মেহেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান অমিত আজহার প্রান্তর ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago