মাদক মামলায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মামলার অপর আসামি নূর আলমকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয় শেখ আজমকে। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরে মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত এক পুলিশ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি সানোয়ার হোসেন বলেন, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি নূর আলমকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজম (৪০) নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাঁচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঘটনার সময় ঝিনাইদহ জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) পদে কর্মরত ছিলেন।

ঘটনার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিলেট রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আজম। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝিনাইদহ থেকে ফরিদপুরের দিকে আসা একটি মোটরসাইকেল মধুখালী রেলগেটের পশ্চিম দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে রাস্তা পাড় হওয়ার সময় মজিবর মোল্লা (৫৫) নামে এক করাত কলের মিস্ত্রিকে ধাক্কা দেয়। এলাকাবাসী আহত মজিবরকে উদ্ধার করে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর মোটরসাইকেল চালক মো. নূর আলম (৩৫) পালিয়ে যান। তবে মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজম পালানোর চেষ্টা করলে জনতা তাকে আটক করে।

পরে মধুখালী থানার পুলিশ এসে দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল তল্লাশি করে একটি বাক্স থেকে ৩৯টি এবং তেলের ট্যাংকে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা ৪৩টি বোতলসহ মোট ৮২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মধুখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শেখ আজম ও নূর আলমকে আসামি করে মাদক মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান ২০১৮ সালের ৪ মে আজমসহ দুই আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

Comments