পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত: ‘কী নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল নিশ্চিত না’
রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনের শনিবার রাতে কর্তব্যরত এক পুলিশ কনস্টেবলের গুলিতে অপর এক পুলিশ কনস্টেবল নিহতের ঘটনাটি তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়ায় ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন এমন মন্তব্য করেছেন।
আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়ায় ঘটনাটি হয়ে থাকতে পারে বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। যদিও সুনির্দিষ্ট করে বলার জন্য আমাদের আরও কিছু তথ্য দেখতে হবে।'
তিনি বলেন, 'তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল এমন কোনো তথ্য আমরা প্রাথমিকভাবে পাইনি। আটক কাউসারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সে ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল না।'
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের সঙ্গে অপর কনস্টেবল কাউসার আলীর মধ্যে ঝগড়ার পর রাত পৌনে ১২টার দিকে গুলির ঘটনা ঘটে।
সেসময় কনস্টেবল কাউসারের গুলিতে জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হন।
কাউসার সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, 'ডিউটিতে তিনি সময়ানুবর্তী ছিলেন। আমরা তার গত এক-দুই মাসের রেকর্ডস দেখেছি যে তিনি কীভাবে ডিউটি করতেন। যথাযথই ছিল। কী বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়েছিল সেটি আমরা এখনো শিওর না। হয়ত পরবর্তীতে জানা যাবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে মনে হয়েছে তিনি (কাউসার) মেন্টালি স্ট্রেসড। তবে একজন যদি এরকম ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবে তার মানসিক অবস্থা ঠিক থাকে না। সে সেখানে অস্ত্র রেখে হাঁটাহাঁটি করছিল। এর কারণ সে স্ট্রেসটা নিতে পারছিল না।'
'ঘটনা ঘটানোর পরেই সে বুঝতে পারছে যে সে কত বড় অন্যায় ও অমানবিক কাজ করেছে। হয়ত এক-দুইদিন গেলে সে একটু মেন্টালি সেটেল হলে বোঝা যাবে যে কেন এমন ঘটনা ঘটল,' বলেন এই কর্মকর্তা।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'রাত ১১টা ৫ মিনিটে এক কর্মকর্তা তাদের সুপারভাইজ করে আসছে। ইনস্পেকশন করে নোট দিয়ে আসছে। সিসিটিভি ফুটেজে যে বইটি দেখেছেন সেটি আমাদের সব জায়গায় থাকে। এটা দাপ্তরিক রেজিস্ট্রার।'
কয় রাউন্ড গুলি চলেছে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, 'আমরা দেখেছি সে (কাউসার) প্রায় ৮-৯ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে। সে আসলে স্বাভাবিক অবস্থা নিয়ে গুলি ছোঁড়েনি।'
Comments