খিলগাঁওয়ে ভাইয়ের কাঁচির আঘাতে বোন নিহত

ঢাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীসহ নিহত ২
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে মেজ ভাইয়ের কাঁচির আঘাতে ছোট বোন রুমি আক্তার (৩৫) নিহত ও বড় ভাই মো. বাবুল (৫৫) আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রুমিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খিলগাঁও পশ্চিম নবীনবাগ গার্মেন্টস গলির একটি বাড়িতে রুমি ও বাবুল আহত হন। পরবর্তীতে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া। বাবুল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছোট বোনকে হত্যা ও বড় ভাইকে জখম করার অভিযোগে ইতোমধ্যে আব্দুস সালামকে (৪৩) আটক করা হয়েছে।'

সালামের স্ত্রী জুলেখা আক্তার জানান, পারিবারিক কলহ থেকে এই হত্যাকাণ্ড।

তিনি বলেন, সালাম অটোরিকশা চালাতেন, তবে সম্প্রতি কোনো কাজ করতেন না। নিয়মিত মাদকসেবন করেন—এই নিয়ে প্রতিদিনই তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। দুই সপ্তাহ আগে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সালাম তাকে প্রচণ্ড মারধর করলে পারিবারের সদস্যরা আলোচনায় বসেন। সেই সময় সালাম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি মাদক ছেড়ে দেবেন।

দুই দিন হলো ঘরে খাবার নেই। এই নিয়ে আজ বিকেলে আবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। জুলেখা জানান ছেলে-মেয়েকে নিয়ে তিনি বাবার বাড়িতে চলে যাবেন। বাবুলও বলেন, নেশা করা না ছাড়লে স্ত্রী চলে যাবেই। এই কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে কাঁচি দিয়ে সালাম বাবুলকে আঘাত করেন। রুমি ঠেকাতে এলে তারও পিঠে আঘাত করেন সালাম, জানান জুলেখা।

তিনি আরও জানান, প্রায় তিন বছর আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে রুমি তার তিন ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন এবং অন্যের বাসায় কাজ শুরু করেন।

দাউদ বলেন, 'তাদের মধ্যে আগে থেকেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English
How artistes flamed cultural defiance in July

How artistes flamed cultural defiance in July

From stage to street, artistes and activists led a cultural revolt against brutality and censorship

7h ago