৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নাফিস সরাফাতের ২২ ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ

চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। ফাইল ছবি সংগৃহীত

ব্যাংক থেকে ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির অভিযোগে পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিস সরাফাত ও তার পরিবারের ২২টি ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

নাফিস সরাফাত, স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহীদ এবং তাদের সন্তান চৌধুরী রহিব সাফওয়ান সরাফাতের এই ফ্ল্যাটগুলো ঢাকার গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, বারিধারা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নিকুঞ্জ, পান্থপথ ও পল্লবীতে অবস্থিত।

নাফিস সরাফাতের নামে গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৯টি ফ্ল্যাট, গুলশানে একটি ২০ তলা ভবন এবং ঢাকার বাড্ডা ও নিকুঞ্জ, গাজীপুর ও কালিয়াকৈরে ৪৩.২০ শতাংশ সম্পদ আছে।

আঞ্জুমান আরার নামে পান্থপথ, গুলশান, পল্লবী ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬টি ফ্ল্যাট এবং বসুন্ধরা, নিকুঞ্জ, বাড্ডা ও গাজীপুরে ২১.২৫ শতাংশ সম্পদ আছে।

তাদের ছেলে সাফওয়ান সরাফাতের নামে বনানী ও বারিধারায় ৭টি ফ্ল্যাট আছে।

তাদের ফ্ল্যাটগুলো জব্দের আদেশ চেয়ে তদন্ত দলের প্রধান দুদক উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমানের পর দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আদালতে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, সরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের ছেলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এতে আরও বলা হয়, জানা গেছে যে সরাফাতের পরিবার তাদের ফ্ল্যাট, ভবন ও অন্যান্য সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। তাই, সেগুলো জব্দ করা প্রয়োজন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর একই আদালত সরাফাতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পর তার বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

তার বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল করে এবং শেয়ার বাজার থেকে ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুদক।

জানা গেছে, পুলিশ ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সহায়তায় সরাফাত পদ্মা ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন।

গত বছরের জানুয়ারিতে নাফিস সরাফাত স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদ্মা ব্যাংকের (পূর্বে ফারমার্স ব্যাংক) চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Rangpur mob violence victims’ families decry police inaction

Four arrested, some culprits have gone into hiding, local police say

1h ago