কুড়িগ্রাম: ‘সংবাদ প্রকাশের জেরে’ সাংবাদিক ‘পেটালেন’ বিএনপি নেতাকর্মীরা

সাংবাদিক সুজন মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

'বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে' কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলায় এক সাংবাদিককে বেদম পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

গতকাল রোববার রাতে রাজিবপুর বাজারের কম্পিউটার গলিতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি আহত সংবাদকর্মীর। মারধরের পর সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে চর রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আহত সাংবাদিক সুজন মাহমুদ দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার রাজিবপুর উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি চর রাজিবপুর উপজেলা শহরের সবুজবাগ এলাকার শাহ আলমের ছেলে।

সুজন মাহমুদের ভাষ্য, তার ওপর হামলাকারীরা সবাই চর রাজিবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমানের অনুসারী।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, 'রোববার রাতে সহকর্মীদের সঙ্গ থাকা অবস্থায় উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, সাব্বির হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফি আলম, শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানাসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল এসে আকস্মিক আমার ওপর আক্রমণ করে। তারা আমাকে বেদম মারপিট করেন। এ সময় সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা আমাকে রক্ষা করেন।'

সুজনের দাবি, গত ৩ জানুয়ারি 'বাংলা এডিশন' নামের একটি অনলাইন পোর্টালে 'স্বপদে বহাল অধ্যক্ষ, নেপথ্যে উপজেলা বিএনপি' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষুদ্ধ হন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও তার অনুসারীরা। এই ক্ষোভ থেকেই তার ওপর এই হামলা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোখলেছুর রহমান জানান, এই মুহূর্তে তিনি সাংগঠনিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তার ভাষ্য, উপজেলায় ওই সাংবাদিকের সঙ্গে কী ঘটেছে, তা তিনি জানেন না। তবে তার অনুসারীরা যদি কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে খারাপ কিছু করে থাকে, তবে তিনি এলাকায় গিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

চর রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. হাসিবুর রহমান জানান, আহত সাংবাদিক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে চর রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তসলিম উদ্দিন বলেন, সাংবাদিক সুজন মাহমুদের ওপর হামলার ঘটনার কথা শুনেছেন। এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি তিনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

1h ago