এক্সিম ব্যাংকের নজরুল ও পরিবারের ৫২ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ

নজরুল ইসলাম মজুমদার | ছবি: সংগৃহীত

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার পরিবারের সদস্যদের ৫২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

নজরুল, তার স্ত্রী নাসরিন ইসলাম, মেয়ে আনিকা ইসলাম, ছেলে ওয়ালিদ ইবনে ইসলাম এবং তাদের কোম্পানির ৫২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ চেয়ে আবেদন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক তদন্ত দলের প্রধান উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিনের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম আবেদন দাখিল করেন।

আবেদনে বলা হয়, নজরুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগের তদন্তের সময় তার নিজের নামে, তার স্ত্রী, মেয়ে এবং ছেলে এবং তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া গেছে।

এসব অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে যা অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, 'জানা গেছে অভিযুক্তরা তাদের ৫২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রক্ষিত অর্থ উত্তোলন করে অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। তাই, ৫২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার আদেশ জারি করা প্রয়োজন।'

গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে। এতে ব্যাংকটির প্রভাবশালী চেয়ারম্যান মজুমদারের যুগের অবসান ঘটে।

আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ নজরুল মজুমদার ২০০৯ সাল থেকে বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের ফোরাম বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকসের (বিএবি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

এ খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, নজরুল মজুমদার শুধু এক্সিম ব্যাংকই নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ পুরো ব্যাংকিং খাতে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।

এর আগে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ জানুয়ারি একই আদালত নজরুল ইসলাম মজুমদার, তার স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

গত বছরের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট নজরুল মজুমদার ও নাসরিনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে।

নাসা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মজুমদারকে গত ১ অক্টোবর ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী এলাকায় ইমন হোসেন গাজীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English
problems in filing complaints in police stations

No scope to verify authenticity when cases are filed: IGP

Instructions have already been issued to ensure that no one is arrested in a harassing manner, he says

2h ago