এনবিআর রিফর্ম অ্যালায়েন্সের সভাপতিসহ ৬ কর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি, ঘুষ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়েছে দুদক।
আজ রোববার দুপুরে দুদক মহাপরিচালক মো. আখতার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
অভিযুক্তদের মধ্যে এনবিআর রিফর্ম অ্যালায়েন্সের সভাপতি ও অতিরিক্ত কর কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদারও আছেন।
অপর কর্মকর্তারা হলেন: এনবিআর সদস্য এ কে এম বদিউল আলম, অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, যুগ্ম-কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, যুগ্ম-কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু।
দুদক জানায়, এনবিআরের একটি অসাধু চক্র করদাতাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে কর ও কাস্টমস ফাঁকিতে সহযোগিতা করেছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা পারস্পরিক স্বার্থে নির্ধারিত কর কমিয়ে সরকারের বিপুল রাজস্বের ক্ষতি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ হলো, ঘুষ না পেলে ওই কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া কর ফাঁকির মামলা দায়ের করে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করেছেন এবং আইনগত সমস্যায় ফেলেছেন।
দুদক আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তদের কেউ কেউ গত ২০–২৫ বছর ধরে বিভিন্ন এনবিআর স্টেশনে কাজ করার সুযোগ নিয়ে কর, ভ্যাট ও শুল্ক ফাঁকির সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে নিজেরা বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
দুদক মহাপরিচালক মো. আখতার বলেন, 'যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদক কারও হাতিয়ার হয়ে কাজ করে না।'
Comments