সেই আলেপের বিরুদ্ধে গুম ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের ‘তথ্য পাওয়া গেছে’: চিফ প্রসিকিউটর

আলেপ উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

বরখাস্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বামীকে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের তথ্য পাওয়া গেছে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের কাছে তিনি এ কথা জানান।

আলেপসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সাবেক আরও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তদন্তে তিনি আদালতের কাছে তিন মাস সময় চেয়েছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।

ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাজুল ইসলাম বলেন, 'আলেপ উদ্দিন র‍্যাবের কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে মারাত্মক। তিনি অসংখ্য মানুষকে গুম ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত।'

'আজ এখানে অনেকে আছেন, যাদের আলেপ উদ্দিন অপহরণ ও গুম করে বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল। নিষ্ঠুরতম পন্থায় নির্যাতন করেছিল। ইলেকট্রিক শক দেওয়া, চোখ বেঁধে রাখা, উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানো সব তিনি করেছেন,' বলেন তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, 'সবচেয়ে মারাত্মক যেটা করেছিলেন, গুম করে স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে স্ত্রীকে রোজার মাসে রোজা ভাঙিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছিলেন। এর তথ্য প্রমাণাদি আমাদের কাছে এসেছে।' 

'আমরা ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছি, এমন নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের তদন্ত শেষ করতে সময় লাগবে। প্রতিদিন ভুক্তভোগীরা আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসছেন,' যোগ করেন তিনি।

আলেপ ২০১৮ সালে র‌্যাব ১১-এর কোম্পানি কমান্ডার থাকাকালীন ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে অফিসার্স মেসে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে।

তাজুল ইসলাম জানান, আলেপ ছাড়াও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জিয়াউল আহসান এবং আরও ছয় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই মাস সময়সীমা বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আইসিটি চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছেন।

প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, আইসিটির তদন্ত সংস্থা সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদ করবে। আন্দোলন চলাকালে র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলির বিষয়টি সাবেক আইজিপি জানতেন। হেলিকপ্টার থেকে কী ধরণের অস্ত্র এবং গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Designed to inflict high casualties

A closer look at police’s arms procurement records reveals the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

8h ago