রোজায় রাজধানীতে ডিবির ‘বিশেষ অভিযান’, সব অপরাধীর ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’

মিন্টো রোডের সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। ছবি: সংগৃহীত

রোজার মাসে ঢাকাবাসীকে 'অধিকতর নিরাপদ ও স্বস্তির পরিবেশে' রাখতে মহানগরের বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে 'অলআউট অ্যাকশনে' যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। এছাড়া ছোট-বড় যেকোনো অপরাধ ও অপরাধীর ক্ষেত্রে 'জিরো টলারেন্স' নীতি অবলম্বন করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার সকালে ঢাকার মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে 'রমজান উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ডিবির কর্মপরিকল্পনা' জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রেজাউল করিম।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, 'আজ থেকে আমরা ডিবির চলমান কার্যক্রমের পাশাপাশি রমজানকে সামনে রেখে বিশেষ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছি। এটা হচ্ছে এক ধরনের বিশেষ গোয়েন্দা অভিযান। যেটাতে ছদ্মবেশে আমাদের সদস্যরা মানুষের মধ্যে থেকে অপরাধীদের শনাক্ত করবে।'

ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'রোজার সময় মানুষের কর্মযজ্ঞ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে আর্থিক লেনদেন বেশি হয়। শপিংমল, ব্যাংক, বীমাগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ে। রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল ও সদরঘাটসহ অন্যান্য জায়গাতে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। এসব জায়গায় কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে, সেজন্য আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি দূরের যাত্রাপথ, বিশেষ করে বাসে কোন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সে লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে আমরা আগে থেকেই ডিবির তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছি।'

গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রেজাউল করিম বলেন, 'চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির সাথে যারা যুক্ত হচ্ছে তাদের বেশির ভাগের বয়স ১৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে। এদের অনেকেই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আবার কিছু ফ্যাসিস্ট পতিত রাজনৈতিক শক্তি তাদের ইন্ধন দিয়ে অপরাধ কার্যক্রমে জড়িয়ে দিচ্ছে।'

ঢাকায় মহানগরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, 'আশা করি কিছুদিনের মধ্যে আপনারা আরও ভালো অবস্থা দেখতে পাবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

If consensus commission fails, it will be a collective failure: Ali Riaz

He made the remarks in his opening statement during the 14th day of the second phase of dialogues with political parties

34m ago