বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নিহত

চুয়াডাঙ্গায় দুস্থদের খাদ্য সহায়তার (ভিজিএফ) চাল বিতরণ নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক (৪৮) নিহত হয়েছেন।
প্রতিপক্ষ তার ভাই শফিককেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভিজিএফের কার্ড বিতরণ নিয়ে গত বুধবার ইউনিয়ন পরিষদে তিতুদহ বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। তারই জের ধরে আজকের হামলার ঘটনা ঘটেছে। রফিকুল ও তার ভাই বাড়ি থেকে বের হলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই রফিকুলের মৃত্যু হয়। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।'
তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য মুক্তি আরা বেগম বলেন, 'ঘটনার সময় আমরা ইউনিয়ন পরিষদে ছিলাম। সেখান থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির খবর পাই। মিলন মিয়ার লোকজন হামলা করেছে বলে শুনেছি।'
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, 'রফিকুলের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়নি। শফিক নামে একজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।'
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভিজিএফের চাল বিতরণ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। তারই জের ধরে মিলন মিয়া ও তার সহযোগীরা হামলা করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রফিক ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তার মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে।'
পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, 'সংঘর্ষের পরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দোকান-পাট বন্ধ করে দেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'
Comments