২১ কোটি টাকা ঘুষের মামলায় তারেক, বাবরসহ খালাস ৮

২১ কোটি টাকার ঘুষ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলমসহ আট জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

খালাস পাওয়া অন্য পাঁচ জন হলেন শাহ আলমের দুই ছেলে শাফিয়াত সোবহান সানভির ও সাদাত সোবহান, তারেকের ব্যক্তিগত সচিব মিয়া নূর উদ্দিন অপু, বিএনপির সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল এবং বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক আবু সুফিয়ান।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আবু তাহের আদালতে উপস্থিত দুই আসামি সালিমুল হক ও আবু সুফিয়ানের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

তারেক রহমান এই মামলায় পলাতক আসামি ছিলেন, অন্যদিকে বাবর ও অপু তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন দাখিল করে আজ অনুপস্থিত ছিলেন। শাহ আলম ও তার দুই ছেলের আইনজীবী আদালতে তাদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

রায়ে বিচারক বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই তাদের খালাস দেওয়া হলো।

বিচারক তার পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ (ঘটনাস্থল বা তারিখ) প্রমাণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

এর আগে, ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম বাবরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা দায়ের করেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া এবং বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান সোবহানের দুই ছেলেকে হত্যা মামলা থেকে বাঁচানোর জন্য এই ঘুষ দেওয়া হয়েছিল বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

তদন্তকারীরা ঘুষের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে তারেক রহমান ও সালিমুল হককে পরবর্তীতে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেন।

সোবহান ও তার দুই ছেলে সানভির ও সাদাত এবং তারেকের ব্যক্তিগত সচিব মিয়া নূর উদ্দিন অপুর বিরুদ্ধেও অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

দুদকের মামলায় বলা হয়, ২০০৬ সালের ৫ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভবনের বাইরে হুমায়ুন কবির সাব্বিরের মরদেহ পাওয়া যায়। সানভির যেন এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত না হন, তা নিশ্চিত করার জন্য আটজন ঘুষ দেওয়া-নেওয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Neonatal mortality still high at 20 per 1,000 births

A recent study has raised concerns about their current condition, revealing operational issues that could threaten future progress.

13h ago