চোরাকারবারিদের হামলায় দুই বিজিবি সদস্য আহত

তিস্তায় নৌকাডুবি
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা সীমান্তে চোরাকারবারিদের হামলায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

আহত দুইজন হলেন ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য অনুপ কুমার (২৯) ও মনিরুজ্জামান (২৯)। তাঁদের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. হাসান শাহরিয়ার শোভন জানান, দুই আহত বিজিবি সদস্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন এবং চিকিৎসা দেওয়ার পর তারা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।

নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার হাছিবুর রহমান জানান, শনিবার দিবাগত রাত (রবিবার) ১টার দিকে জগতবেড় ইউনিয়নের ৮৬৮ নম্বর মেইন পিলারের ৩-এস সাব পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

সিপাহী মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, 'রাতে সীমান্তে টহলের সময় আমাদের ছয় সদস্যের দলের কাছে তথ্য আসে নাজিরগোমানী সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচারের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। আমরা সেখানে সতর্কতার মাত্রা বৃদ্ধি করি। এমন সময় ১২ থেকে ১৫ জন পাচারকারীর একটি দল স্থানীয়দের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য চিৎকার শুরু করে এবং আমাদের ওপর বাঁশের লাঠি হাতে হামলা চালায়। আমি এবং অনুপ উভয়ই এতে আহত হই।'

তিনি আরও বলেন, 'হামলাকারীরা চিহ্নিত পাচারকারী এবং তারা সীমান্তের কাছে বেশ কিছু অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত।'

নাজিরগোমানী গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল আলম (৫৬) বলেন, 'রাত আনুমানিক ১টার দিকে চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে যায়, কিন্তু বাইরে যাইনি। সীমান্ত এলাকায় অনেক সময় গুজব ছড়িয়ে এভাবে উত্তেজনা তৈরি করে, আর অন্যদিকে মাদক ও অন্যান্য চোরাকারবারি পণ্য পাচার করা হয়।'

নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার জানান তিনি গতকাল রোববার বিকেলে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে পাটগ্রাম থানায় মামলা করেছেন।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English

AL govt’s secret surveillance state

From snooping devices carried in backpacks to locate people through their phones to a massive infrastructure that can intercept even end-to-end encryption from a central command centre, the Awami League government had been on an increasingly aggressive trajectory towards building a powerful surveillance state. 

20h ago