আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অচেতন করে লুটের চেষ্টার অভিযোগ

কুলিয়ারচর থানা সড়কের হাবিব কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় আইএফআইসি ব্যাংকের শাখায় এ ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় আইএফআইসি ব্যাংকের একটি শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অচেতন করে লুটের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার দুপুরে কুলিয়ারচর থানা সড়কের হাবিব কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংকের শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

অসুস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থানীয়রা ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

পুলিশের ধারণা, ব্যাংকে ডাকাতির উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবে কোনো কিছু প্রয়োগ করে তাদের অচেতন করা হতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, ব্যাংকের শাখাটিতে ৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত। দুপুর ১টার দিকে কয়েকজন গ্রাহক ব্যাংকে গিয়ে প্রধান ফটকের সামনে একজনকে পড়ে থাকতে দেখেন। ভেতরে বাকি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যার যার জায়গায় পড়ে ছিলেন এবং বমি করছিলেন।

তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পরিস্থিতি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। 

পরে পুলিশ এসে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারের সামনের কাঁচ ভাঙা অবস্থায় পায়।

পুলিশ ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক সৌমিক জামান খান ও নিরাপত্তাকর্মী কামাল হোসেনকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বাকি ৪ জনকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ব্যবস্থাপক ও নিরাপত্তাকর্মীকেও পরে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আদনান আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্যবস্থাপককে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে দুজনই বমি করেন। তাদের শরীরে কোনো বিশেষ ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।'

ঘটনার পরপরই কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, কীভাবে এটা ঘটল—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

'Election Commission shamelessly favouring a particular party'

Hasnat Abdullah says police obstructed NCP leaders and activists from entering EC building

1h ago