পাটগ্রাম

থানায় হামলা করে আসামি ছিনতাই: বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪

হামলায় পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা করে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় এক বিএনপি নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

তারা হলেন—ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রহমতপুর মেসিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাহিদুল ইসলাম, সোহাগপুরের আব্দুর রশিদ, বাউড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান ও একই গ্রামের আবুল কালাম।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বুধবার রাতে প্রায় ২৫০ দুর্বৃত্ত পাটগ্রাম থানায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি বেলাল হোসেন ও সোহেল রানা চপলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে পাটগ্রাম থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং শতাধিক অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করে। 

মামলায় থানায় হামলা, পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এজাহারে নাম উল্লেখ করা আসামিদের অধিকাংশই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে পাটগ্রাম শহরের পাশে সরোওর বাজার এলাকায় পাথর ও বালুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির সময় ওই দুজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। ওই রাতেই দুজনকে থানায় নেওয়ার পর থানায় হামলা হয়।

হামলায় ওসিসহ অন্তত ৮ পুলিশ সদস্য আহত হন।

তবে এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় বিএনপি। এতে লিখিত বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান বলেন, 'ঘটনার সূত্রপাত স্থানীয় পাথর কোয়ারি ইজারাদারদের সঙ্গে পুলিশের বিরোধ থেকে। বিএনপিকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হচ্ছে। আমাদের কিছু নেতাকর্মী থানায় গিয়েছিলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতে।'

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, 'ছিনিয়ে নেওয়া আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ৪ জনের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago