বাংলাদেশ

বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ এলো ৭৮ দিন পর

গত ৫ জুন ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার কালীরহাট সীমান্তের মেসেরডাঙ্গা এলাকায় বিএসএফের গুলিতে তিনি নিহত হন।
মঙ্গলবার বিকেলে সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ৭৮ দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কালীরহাট বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাদেকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ইউসুফ আলী (২৫) পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের মেসেরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।

গত ৫ জুন ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার কালীরহাট সীমান্তের মেসেরডাঙ্গা এলাকায় ৮৫৭ নাম্বার মেইন পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে তিনি নিহত হন। পরে বিএসএফ মরদেহটি ভারতে নিয়ে যায়।

নিহত ইউসুফ আলীর বাবা শাহ জামাল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ইউসুফ কৃষিকাজ করতেন। গত ৫ জুন এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে তার ছেলে ভারতের দিকে যায়। 

সে সময় বিএসএফ গুলি করলে অন্যরা দেশে ঢুকে পড়ে, কিন্তু ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। 

জগতবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '৫ জুন ভোরে ১০-১২ জন বাংলাদেশি ভারতে গিয়েছিল গরু আনতে। কোচবিহার জেলার সরকারপাড়া এলাকা থেকে গরু আনার সময় সীমান্তে টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করেন। সে সময় ইউসুফ আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।' 

Comments