সাইকেল চালিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

প্রতীক বরাদ্দের পর চট্টগ্রামের সংসদীয় আসনগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যার যার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।

চট্টগ্রাম-৭ সংসদীয় আসনে (রাঙ্গুনিয়া) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ডিঙি নৌকায় কর্ণফুলি নদী পার হয়ে ইছাখালীর রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে সাইকেল চালিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।

পরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক দিয়ে মরিয়মনগর চৌমুহনী গিয়ে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের প্রথম দিনের প্রচারণা।

পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ দেশে-বিদেশে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তারা বেলুনের মত টুস করে চুপসে গেছে। এখন শক্তিশালী ভিটামিন ট্যাবলেট দিয়েও বিএনপিকে দাঁড় করানো যাচ্ছে না।'

নির্বাচন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছিল, তারা এখন গর্তে ঢুকেছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, '৭ জানুয়ারি ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশের মতো আমরাও এই রাঙ্গুনিয়ায় হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে সবাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবো।'

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিনে আন্দরকিল্লা এলাকায় নেতা কর্মীদের নিয়ে প্রচারণা চালান। এই সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোশেনের ৩২ নম্বর (আন্দরকিল্লা) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীকে তার সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যায়।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে পেয়েছেন কেটলি। তিনি আগ্রাবাদ এলাকায় চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।

সুমন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। স্থানীয় ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে সুমন বলেন, তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু না পেয়ে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন আবু তৈয়ব দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি নির্বাচনী প্রতীক পেয়েছেন তরমুজ।

যোগাযোগ করা হলে, তৈয়ব জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে তার নিজের ইউনিয়ন জাফতনগরে ছুটে যান এবং সেখান থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।

নিজের জয়ের ব্যাপারে 'নিশ্চিত' জানিয়ে তৈয়ব বলেন, 'এলাকার মানুষ পরিবর্তন চাই। আমি দীর্ঘদিন এলাকার মানুষের সুখে- দুঃখে পাশে ছিলাম, এখনো আছি। তাই আশা করছি নির্বাচনে তারা আমাকে ভোট দেবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Made with US cotton? Pay less at US customs

US customs will apply a tariff rate only to the non-American portion of a product's value

10h ago