নারায়ণগঞ্জ-১

ভূমিদস্যুরা পুতুল এমপি বানিয়ে রূপগঞ্জকে দখল করতে চায়: গোলাম দস্তগীর গাজী

‘আমি ব্যবসায়ী, আমার নিজের ব্যবসা আছে। সুতরাং আমার অর্থ খরচ করতে কোনো সমস্যা নেই। তারা (প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা) কীভাবে অর্থ খরচ করছে? ভূমিদস্যুরা তাদের অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছে।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, 'আমার প্রতিপক্ষরা ভূমিদস্যুদের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অর্থে নির্বাচনে নেমেছে। ভূমিদস্যুরা ওই প্রার্থীদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। তারা একজন পুতুল এমপি বানিয়ে রূপগঞ্জকে দখল করতে চান।'

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গঙ্গানগর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি এ কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে তিনবারের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী এবারও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি বর্তমান সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'আমি ভূমি রক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছি এবং ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখছি। কিন্তু ভূমিদস্যুরা এতই ক্ষমতাবান যে তারা প্রশাসনকে পর্যন্ত হার মানিয়ে দেয়। ভূমিদস্যুরা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে তারা প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে দেয়। তারা অন্যের জমি দখল করে, জমির মালিককে আঘাত করে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। এভাবে হাজারো মানুষকে নাজেহাল করে তারা জমি দখল করছে।'

ভূমিদস্যুরা রূপগঞ্জে 'একচ্ছত্র আধিপত্যের' উদ্দেশ্যে তার বিপরীতে একাধিক প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন নৌকার প্রার্থী।

তিনি বলেন, 'আমি ব্যবসায়ী, আমার নিজের ব্যবসা আছে। সুতরাং আমার অর্থ খরচ করতে কোনো সমস্যা নেই। তারা (প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা) কীভাবে অর্থ খরচ করছে? ভূমিদস্যুরা তাদের অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছে।'

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনটিতে 'কিংস পার্টি'খ্যাত তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার এবং রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া, আরও পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন আসনটিতে।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তারা যেকোনো ছোটখাটো বিষয়েও কেবল নালিশ করেই যাচ্ছে। তারা আমাদের ওই কাজেই ব্যস্ত রাখতে চাচ্ছেন। প্রশাসন মনে করছে, নালিশের ব্যাপারে অ্যাকশনে না গেলে কমিশনকে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। এই কারণে তারা অ্যাকশনে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের তো নালিশ করার সময় নেই। কারণ, আমাদের ভোট দেবে জনগণ। তাই আমরা জনগণকে নিয়েই ব্যস্ত, তাদের নিয়েই আছি।'

Comments