বগুড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে মারধর, আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলাম মতিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমানের কর্মী রিজুয়ানুল হক রিজভীকে (৪৫) মারধরের ঘটনায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া জোড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো. রফিকুল ইসলাম মতিনকে (৩৯) আজ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগীর স্ত্রী গতকাল রাতে সোনাতলা থানায় মামলা করেন। মামলায় বগুড়া-১ আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহাদারা মান্নানের ছোটভাই ও সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ সাত জনকে আসামি করা হয়।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়নের ভেলুরপাড়া চার মাথা এলাকায় রিজুয়ানুল হক রিজভীকে মারধর করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক রিজুয়ানুল হক রিজভী ও ইসমাইল হোসেন সোনাতলা থেকে ঠাকুরপাড়ায় বাড়িতে ফেরার পথে ভেলুরপাড়া চার মাথা মোড়ে হামলার মুখে পড়েন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান লীটনের নেতৃত্বে সাত-আট জন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। ইসমাইল সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও রিজভীকে কিল-ঘুষি মারেন হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এস এম মোস্তাফিজুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অনেক দিন থেকেই দলীয় শক্তি ব্যবহার করে মিনহাদুজ্জামান লিটন আমার নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন এবং মারধর করছেন। গতরাতে তারা আমার কর্মী রিজভীকে মারধর করেছে। বর্তমানে সে ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছে। পুলিশকে ধন্যবাদ যে তারা মামলা নিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।'

জানতে চাইলে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই ঘটনায় সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে গতকাল রাতেই মামলা হয়েছে। আমরা মামলার আসামি মতিনকে ভোর রাতে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে পাঠিয়েছি। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

সোনাতলা উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লীটনের মন্তব্যের জন্য মোবইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Comments

The Daily Star  | English
Ishraque Demands Advisers Asif, Mahfuj Alam Resign

Protests continue as Ishraque vows to stay on streets until advisers resign

Protests rolled into this morning as BNP activists and leaders held their ground in front of the mosque, demanding that Ishraque be allowed to take the oath as mayor

1h ago