নরসিংদীতে ৩৩ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ২৩ জন

তারা পেয়েছেন এক শতাংশের কম ভোট।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী জেলায় ৩৩ প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জন জামানত হারিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও তাদের দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রায় সব প্রার্থী পাঁচ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন। ২৩ প্রার্থী পেয়েছেন এক শতাংশের কম ভোট।

আইন অনুসারে, মোট কাস্টিং ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের কম ভোট পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার তথ্য অনুসারে নরসিংদীতে গড়ে ৪১ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে। সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন রায়পুরা উপজেলার বিএনএফের প্রার্থী মো. বিটু মিয়া। ১৬৩টি কেন্দ্রে তিনি ৭৫টি ভোট পেয়েছেন।

নরসিংদী ১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান ছাড়া বাকি ছয় প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে চার লাখ ৪১ হাজার ৪৩৬ জন ভোটারের মধ্যে এক লাখ ৪৫ হাজার ৭১৩ জন ভোট দিয়েছেন। বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী ইকবাল হোসেন ভূইয়া ১৮৯ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ওমর ফারুক মিয়া ৭৫০, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. ছবির মিয়া ২৭৩, তৃনমূল বিএনপির মো. জলিল সরকার ১৪০, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া ১৪২ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী সাজাহান মিয়া ৪৭৭টি ভোট পেয়েছেন।

নরসিংদী ২ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছাড়া বাকি দুইজন জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ৬৯ হাজার ২৫৩ জন। ৯০টি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ৯৩ হাজার ২৫৫ জন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ.এন.এম রফিকুল ইসলাম সেলিম পেয়েছেন চার হাজার ৯১৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আফরোজা সুলতানা ৬২৪ ভোট ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাসুম বিল্লাহ পেয়েছেন ৭৭৫টি ভোট।

নরসিংদী আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফজলে রাব্বি খানকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। এই আসনে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে ছয়জন জামানত হারিয়েছেন। মোট দুই লাখ ৬৩ হাজার ৭২৩ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন এক লাখ তিন হাজার ২৪০ জন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএসএম জাহাঙ্গীর পাঠান পেয়েছেন ১৮৯ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ডা. মো. আলতাফ হোসেন ১৮০, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মিরানা জাফরিন চৌধুরী ৩৪৮, ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ৩৩১, গণফোরামের মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ১১২, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সুশান্ত চন্দ্র বর্মণ ১৮৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

নরসিংদী আসনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বীরু ছাড়া অন্য দুই প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে চার লাখ দুই হাজার ৬১০ জনের মধ্যে এক লাখ ৪৯ হাজার ৮০৩ জন ভোট দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন ৯৫২টি ভোট ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী এমদাদুল হক (ভুলন) ১৮৪টি ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

নরসিংদী ৫ আসনে সাত প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মোট এক লাখ ৭৯ হাজার ২৮৪ জনের মধ্যে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মুফতি আব্দুল কাদের মোল্লা এক হাজার ৩৩৭ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মমতাজ মহল ১৫৫, গণফ্রন্টের মো. নাজমুল হক সিকদার ১০১, বিএনএফের মো. বিটু মিয়া ৭৫, জাসদের মাহফুজুর রহমান ৬৯০, জাতীয় পার্টি মো. শহীদুল ইসলাম ৭৫৬ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সোলায়মান খন্দকার ৩৩৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

Comments