‘৪-৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা’

আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার।
আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ১৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, 'আমরা সুদীর্ঘক্ষণ ধরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অতি গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করতে চাই, প্রধান উপদেষ্টা ক্যাটাগরিকালি বলেছেন, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের একটা সুনির্দিষ্ট সময় তিনি ঘোষণা করবেন।'
তিনি বলেন, 'এরচেয়ে আনন্দের বার্তা আর কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি আজকের আমাদের আলোচনার সবচাইতে ফলপ্রসূ বিষয় এটাই।'
এর আগে এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, 'আমরা অনতিবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য বলেছি। যদি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন, দেখবেন অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা সচিবালয়, বিচারালয়, পুলিশ প্রশাসন, ব্যাংক ও অন্যান্য জায়গায় আছে তাদের বিতাড়িত করতে হবে এবং যোগ্য মানুষকে সেইসব জায়গায় বসাতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা বলেছি, মাঠপর্যায়ে সব ডিসি-এসপিদের চেক করতে হবে এবং ইন্যাক্টিভ অ্যাডভাইজারদের বাদ দিয়ে একটিভ পার্সনদের নেন।'
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বলেন, 'আমরা জানিয়েছি, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারকে যদি কোনো মৌলিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাহলে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়েতে হবে। যেমন: হিউম্যান করিডরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিসের ব্যাপারে নিয়েছে। এগুলো আসলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজের মধ্যে পড়ে না। এগুলো নির্বাচিত সরকার করবে।'
তিনি বলেন, 'সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হলে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমি একটা সুন্দর নির্বাচন করতে চাই এবং নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন দিতে চাই; কিন্তু পতিত স্বৈরাচার বিভিন্নভাবে এটাকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। আমরা বলেছি, কঠোর হস্তে দমন না করলে পতিত স্বৈরাচার বিভিন্ন অজুহাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।'
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ জাসদের ড. মুশতাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
Comments