রসিক নির্বাচনে ১০ মেয়র প্রার্থীর সবার মনোনয়ন বৈধ

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ১০ মেয়র প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ১০ মেয়র প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে যাচাই-বাছাই শেষে সব মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।

এর আগে ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

বৈধ প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি, লতিফুর রহমান মিলন ও আতাউর জামান বাবু।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৯ ডিসেম্বর।

২০১২ সালের ২৮ জুন ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠনের পর ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ওই বছর ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট এবং বিএনপি নেতা কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ২১ হাজার ২৩৫ ভোট।

২০১২ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ১২৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৪ জন।

দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু পান ৬২ হাজার ৪০০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট।

২০১৭ সালে ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ ও নারী ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন।

এবার ভোটার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।

২২৯টি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

Comments